গান শুনে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে? বিষয়টা খুবই অদ্ভুত তাইনা? হ্যা এমনি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে হাঙ্গেরীয় একটি গান “গ্লোমি সানডে” কে কেন্দ্র করে।
১৯৩৩ সালে হাঙ্গেরিও পিয়ানোবাদক রেজো সেরেস “ইন্ড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড” নামে একটি গান প্রকাশ করে। গানটির লিরিক্স লিখেছিলেন লাজলো জাভোর আর সেখানে তিনি গানটির নাম দেন যার হাঙ্গেরীয় উচ্চারণে “জুমোরো ভার্সানাপ” আর ইংরেজীতে তা গ্লোমি সানডে।
হাঙ্গেরীতে তার সংস্করণটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এবং তার সাথে আত্নহত্যার সংখ্যাও অনেক বেড়ে যায়। জাভোর সাবেক স্ত্রীও আত্নহত্যা করেন। এছাড়াও অনেকে বাসার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্নহত্যা করেন। ঐ সময় তাদের হাত থেকে গানটির একটি শীট মিউজিক সংস্করণ উদ্ধার করা হয়।
এরপর অনেক শিল্পী গানটিকে নিজেদের মতো কভার করতে থাকেন। ১৯৩৬ সালে গানটিকে ইংরেজী ভাষায় প্রথম রেকর্ড করেন হাল ক্যাম্প এবং গানটির লিরিক নতুনভাবে লেখেন স্যাম এম. লিওজ। তারপর ১৯৪১ সালে গানটির কভার করেন বিলি হলিডে। যা ইংরেজীভাষী লোকজনের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সেই সাথে আত্মহত্যার পরিমাণও অনেক বেড়ে যায়। যার জন্য এই গানটিকে দায়ী করা হয়। অনেকে দাবী করেন গানটার সুরে এমন কিছু আছে যা মানুষকে আত্নহননের পথে দাবিত করে।
“Foreign legends” এর তথ্যানুসারে দাবী করা হয় গানটি শুনে একশত এর বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে।
গানটি ইউটিউবে “Gloomy Sunday” শিরোনামে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন।